ফরম্যাটের সঙ্গে ভাগ্যও বদলে গেল শ্রীলঙ্কার। শেষ ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানিন্দু হাছরাঙ্গা ও দাসুন শনাকার মারাত্মক বোলিংয়ে মাত্র ৮১ রান পুঁজি পায় ভারত। ওই রান ১৪.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ছাড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮১ রান তুলে ভারত। যা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন শিখর ধাওয়ান। দলীয় ৫ রানে ধাওয়ানকে শিকার করেন দুশমান্থা চামিরা। তারপর ৩৬ রানের ভেতরেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় ভারত। ষষ্ঠ উইকেটে ভুবনেশ্বর কুমার ও কুলদীপ যাদব গড়েন ১৯ রানের জুটি। হাসারাঙ্গার বলে দাসুন শানাকার দুর্দান্ত এক ক্যাচে ভুবনেশ্বর ফেরেন ৩২ বলে ১৬ রান করে।
তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন কুলদীপ। তার ২৮ বলে অপরাজিত ২৩ রানে ভয় করে ভারত পায় ৮ উইকেটে ৮১ রানের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ভারতকে এই মামুলী সংগ্রহে বেঁধে ফেলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হাসারাঙ্গার। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তিনি। শানাকা শিকার করেন ২টি উইকেট। অকিলা ধনঞ্জয়া ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করেও কোনো উইকেট পাননি। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। রাহুল চাহারের দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচে দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় অর্ধশতক পূরণ করতে ৬৮টি বল খেলে শ্রীলঙ্কা। রাহুলের ৪ ওভারেই হিমশিম খায় লঙ্কানরা।
১২ ওভারের ভেতর ৪ ওভার বোলিং করে ১৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন রাহুল। রাহুলের আক্রমণে ১২ ওভারে ৫৬ রানে ৩টি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তারপরে হাসারাঙ্গা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দ্রুত রান তুলতে থাকেন। হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৪ রানে ও ধনঞ্জয়া ২০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।